Class 3 Bengali Book Question Answer খুঁজছেন? এখানে পাবেন এই বছরের তৃতীয় শ্রেণির নতুন বাংলা পাঠ্যবই থেকে নেওয়া “খাদ্য বিষয়ক দুটি গল্প” এর সহজ ও সঠিক প্রশ্নোত্তর। এই পাঠে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে বাঙালির নানান খাবার, যেমন ভাত, তরকারি, মাছ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মিষ্টিজাত খাদ্য। গল্পগুলো পড়লে শিক্ষার্থীরা শুধু খাবারের বৈচিত্র্য সম্পর্কে জানবে না, বরং আমাদের সংস্কৃতি ও খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ ধারণা পাবে।
আমরা এখানে দিয়েছি Class 3 Bengali ছাত্রছাত্রীদের জন্য সহজ ভাষায় সাজানো প্রশ্নোত্তর, যা পড়াশোনায় সহায়তা করবে এবং পরীক্ষার প্রস্তুতিকে আরও সহজ করে তুলবে। ছোটরা যেন গল্পগুলো বুঝতে পারে এবং আনন্দের সাথে শিখতে পারে, সেই দিকেও বিশেষ খেয়াল রাখা হয়েছে।
(toc)
চলুন দেখে নিই “খাদ্য বিষয়ক দুটি গল্প” প্রশ্নোত্তর (Class 3 Bengali Book Question Answer), যা নতুন বই পড়া আরও আনন্দময় করে তুলবে।
খাবার থেকে আমরা পুষ্টি পাই। খাবার রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। একেক জাতির খাবার একেক রকম। বাঙালিরা নানা ধরনের খাবার খায়। দুজন বিখ্যাত ছড়াকার মজার ছলে সেই খাবারের বর্ণনা করেছেন। এসো, নীচের ছড়া দুটি থেকে সেইসব প্রয়োগ দেখে নেওয়া যাক —
খাই খাই
খাই খাই করো কেনো, এসো বসো আহারে-
খাওয়াব আজব খাওয়া, ভোজ কয় যাহারে।
যত কিছু খাওয়া লেখে বাঙালির ভাষাতে,
জড়ো করে আনি সব - থাকো সেই আশাতে।
ডাল ভাত তরকারি ফলমূল শস্য,
আমিষ ও নিরামিষ, চর্ব্য ও চোষ্য,
রুটি লুচি, ভাজাভুজি, টক ঝাল মিষ্টি,
ময়রা ও পাচকের যত কিছু সৃষ্টি।
— সুকুমার রায়
(সংক্ষেপিত)
নেমন্তন্ন
ক্রিয়াকলাপ
১। এসো, আলোচনা করে লিখি—
ক) বাঙালির দুটো খাবারের নাম লেখো।
উত্তরঃ বাঙালির দুটো খাবারের নাম হলো— রুটি ও লুচি ।
খ) ময়রা কী তৈরি করেন?
উত্তরঃ ময়রা মিষ্টান্ন তৈরি করেন ।
গ) নেমন্তন্ন খেতে কোথায় যাচ্ছিল?
উত্তরঃ নেমন্তন্ন খেতে চাংড়ি পোতা যাচ্ছিল ।
ঘ) নেমন্তন্নে কী ভোজন হবে?
উত্তরঃ নেমন্তন্নে প্রসাদ ভোজন হবে ।
ঙ) বক্তা কী খেতে চায়?
উত্তরঃ বক্তা ছানার পোলাও খেতে চায় ।
২। নীচের প্রশ্নসমূহের শুদ্ধ উত্তরটি খুঁজে বের করে 'ⵔ' চিহ্নটি পূর্ণ করো —
(ক) কোন্ কথাটি সত্য —
(ক) বিভিন্ন রকমের খাওয়া নিয়ে ভোজ হয়।
(খ) জলযোগ মানে কেবল জল খাওয়া।
(গ) ক্ষীর কদলী এক ধরনের কলা।
(ঘ) বিয়েবাড়িতে ভোজন হয়।
উত্তরঃ (ক) বিভিন্ন রকমের খাওয়া নিয়ে ভোজ হয়।
(খ) পাচক কী কাজ করেন?
(ক) চেয়ার টেবিল তৈরি করে।
(খ) রান্নাবান্না করে।
(গ) বাগানে কাজ করে।
(ঘ) ঘরবাড়ি তৈরি করে।
উত্তরঃ (খ) রান্নাবান্না করে।
৩। নীচের বাক্যাংশের সঙ্গে ডানদিকের বাক্সে যে বাক্যাংশ রয়েছে সেগুলো রেখাচিহ্ন দ্বারা যুক্ত কর—
উত্তরঃ
8। এসো, লিখি—ক) 'খাই খাই' কবিতায় কী কী ধরনের খাদ্যের কথা আছে?
উত্তরঃ 'খাই খাই' কবিতায় বিভিন্ন ধরনের খাদ্যের কথা উল্লেখ আছে, যেমন— ডাল, ভাত,
রুটি, লুচি, মিষ্টি ইত্যাদি ।
খ) 'নেমন্তন্ন' কবিতায় মিষ্টি জাতীয় খাবারগুলোর নাম লেখো।
উত্তরঃ 'নেমন্তন্ন' কবিতায় মিষ্টি জাতীয় খাবারগুলোর নাম হলো— সরপুরিয়া,
রাবড়ি পায়েস, ক্ষীর, কদলী, সবরি কলা, ফজলি আম ইত্যাদি ।
৫। পদ্যের অনুসরণে গল্প লেখো—
একজন নেমন্তন্ন খেতে যাচ্ছিল। পথে পরিচিত একজনের সঙ্গে দেখা হয়।
একজন মানুষ নেমন্তন্ন খেতে যাচ্ছিলেন। পথে তার এক পরিচিত বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলো। বন্ধুটি বলল, “কোথায় যাচ্ছ?” তিনি হাসিমুখে উত্তর দিলেন, “আজ আমার এক আত্মীয়ের বাড়ি নেমন্তন্ন আছে, সেখানেই যাচ্ছি।” বন্ধুটি খুশি হয়ে বলল, “খুব ভালো, আমারও ঐ দিকে কাজ আছে, চল আমরা একসঙ্গে যাই।” তারা গল্প করতে করতে একসঙ্গে হাঁটতে লাগল। পথে দু’জনেরই খুব আনন্দ হলো।
(এইভাবে গল্পটি নোটখাতায় লেখো)
ভাষা অধ্যয়ন
৬। এসো, শব্দের সঙ্গে অর্থ দাগ টেনে জুড়ে দেওয়া যাক—
৭। এসো, শব্দ গঠন করে লিখি —
তোমরা কবিতায় 'খাওয়া', 'খাই', 'ডাল', 'ভাত' শব্দগুলো পেয়েছ এখন এই শব্দগুলোর প্রথম অক্ষরটির স্থানে 'হ' বসিয়ে কী শব্দ হবে ছবির নীচের বাক্সে লেখো।
উত্তরঃ
৮। বাক্সের ভেতর থেকে শব্দ বেছে নিয়ে ফাঁকা জায়গায় বসাও-
ক) মাছ-মাংস হলো ___________ খাদ্য।
উত্তরঃ মাছ-মাংস হলো ___আমিষ___ খাদ্য।
খ) গগন শব্দটির অর্থ ___________ ।
উত্তরঃ গগন শব্দটির অর্থ ____আকাশ__ ।
গ) প্রসাদে ________ খাওয়ানো হয়।
উত্তরঃ প্রসাদে ___আম___ খাওয়ানো হয়।
ঘ) আয়েস করে _________ খাওয়া হয়।
উত্তরঃ আয়েস করে ___রাবড়ি___ খাওয়া হয়।
৯। এসো, নীচের বাক্স থেকে শব্দ তুলে তুলে একটি ছড়া লিখি
তাই তাই তাই
মামার বাড়ি যাই।
মামি দিল দুধ ভাত
পেট ভরে
খাই
মামার বাড়ি থাকবে দুই
বোন আর ভাই
চাঁদের আলোয় ছাদে বসে
খুশিতে
গান গাই।
১০। নীচের শব্দগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ শব্দগুলো লেখো-
কাঁদি শিষ থোকা আঁটি
উত্তরঃ কলার কাঁদি
ধানের শিষ
শাকের আঁটি
আঙুরের থোকা
জ্ঞান-সম্প্রসারণ
১১। ভেবে লেখো—
নেমন্তন্ন খেতে বেশ আনন্দ হয়। কারণ নেমন্তন্নে অনেক ধরনের খাবার থাকে। তোমাদের বাড়িতে কাউকে নেমন্তন্ন করে খাওয়ানো হয় যখন, তখন কী কী খাদ্য প্রস্তুত করা হয়, তার একটি তালিকা প্রস্তুত করো।
উত্তরঃ আমাদের বাড়িতে কাউকে নেমন্তন্ন করে খাওয়ানো হয় যখন, তখন আমরা নিচের খাদ্য তালিকায় থাকা খাদ্য প্রস্তুত করি। নেমন্তন্নের খাবারের তালিকা —
- ভাত
- ডাল
- আলুর দম / আলুর তরকারি
- শাকভাজি
- মাছের ঝোল (ইলিশ/রুই/কাতলা)
- মাংস (মুরগি বা খাসি)
- চাটনি (টমেটো / আমসত্ত্ব দিয়ে)
- পাপড়
- মিষ্টি (রসগোল্লা, সন্দেশ, রাবড়ি)
- দই
- পায়েস ইত্যাদি ।
১২। অনুমান করে বলো—
পাচক, রুটি লুচি তৈরি করে। পাচক আর কী-কী খাদ্য প্রস্তুত করে?
উত্তরঃ পাচক রুটি, লুচি, ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খাদ্য যেমন— ভাত, মাছ, মাংস, ডাল, সবজি, পায়েস, পিঠা ইত্যাদি তৈরি করে ।
১৩। এসো, ভেবে লিখি—
ক) প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেলে তোমার কী-কী অসুবিধা হতে পারে?
উত্তরঃ প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেলে পরিপাকতন্ত্রের উপর চাপ পড়ে, যাহা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে । প্রয়োজনের বেশি খেলে শরীরে মেধ হিসাবে জমা হয় এবং শরীরের ওজন বেড়ে যায় ।
খ) তুমি কারও বাড়িতে গেলে কী কী খাও?
উত্তরঃ আমি কারও বাড়িতে গেলে দুধ, বিস্কুট, মিষ্টান্ন ছাড়াও আরো নানা ধরনের খাবার খাই ।
গ) কবিতায় বক্তা প্রসাদ ভোজন করতে গিয়েছিলেন। তুমি কোথায় কোথায় নেমন্তন্ন খেতে যাও?
উত্তরঃ আমি জন্মদিন, বিয়ে ছাড়াও আরো বিভিন্ন অনুষ্টানে নেমন্তন্ন খেতে যাই ।
১৪। এসো, রান্নাঘরের কয়েকটি জিনিসের ছবি দেখা যাক। কোনটি কী কাজে লাগে, তা বলো।
উত্তরঃ কোনটি কী কাজে লাগে—থালা → ভাত ও তরকারি পরিবেশনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
হাঁড়ি → ভাত বা তরকারি রান্না করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
কড়াই → ভাজাভুজি বা তরকারি রান্নার জন্য লাগে।
কলসি → জল রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়।
বাটি → তরকারি বা ডাল পরিবেশনের জন্য ব্যবহার হয়।
চামচ → খাবার পরিবেশন বা খাওয়ার জন্য কাজে লাগে।
লোটা → জল খাওয়ার বা রাখার কাজে ব্যবহৃত হয়।
বটি → শাকসবজি, মাছ, মাংস কাটার কাজে ব্যবহার হয়।
১৫। নীচের বাক্সে বেশ কিছু খাবার তৈরির সামগ্রী আছে। খাবার গুলো বানাতে কী কী প্রয়োজন তা খাবারের পাশের শূন্যস্থানে লিখি, এসো-
চাল, ডাল, দুধ, চিনি, লবন, লংকা, গুড়
খিচুড়ি = চাল, ডাল, লবন, লংকা ।
পায়েস = চাল, দুধ, চিনি ।
পিঠে = দুধ, চিনি, গুড়।
১৬। তোমার প্রিয় খাবারের নীচে '〇' চিহ্নটি পূর্ণ করো। খাবারটি কেন ভালো লাগে বলো
উত্তরঃ নিজের ইচ্ছা অনুসারে গোল চিহ্নটি পূর্ণ করো ।১৭। নীচের ছবি দেখে কী বুঝেছ বলো
উত্তরঃ এখানে ছবিগুলোতে আখ থেকে গুড় তৈরির ধাপ দেখানো হয়েছে—
(ক) → কৃষক আখ কাটছে।
(খ) → বলদের সাহায্যে আখ থেকে রস বের করা হচ্ছে।
(গ) → বড় কড়াইয়ে সেই আখের রস জ্বাল দিয়ে ঘন করা হচ্ছে।
(ঘ) → শেষে সেই ঘন রস পাত্রে ঢেলে গুড় বানানো হচ্ছে।
এসো হাতে-কলমে করি
১৮। কাগজ সমান ভাঁজে কেটে ছবিতে যেভাবে দেখানো হয়েছে সেভাবে আঠা দিয়ে লাগাও-
উত্তরঃ নিজেরা চেষ্টা করো ।