এই পাঠে বোঝানো হয়েছে মূলত - মানুষের মৌলিক প্রয়োজন তিনটি — অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থান। আমরা যেভাবে ঘর বানাই, অনেক পশু-পাখিও আছে যারা নিজেদের ঘর বানিয়ে নিতে পারে। অনেকে আবার পারেও না৷ আমরা জানবো 'বাঁদর ও বাবুই পাখির গল্প' মাধ্যমে আমরা এমন দুই ধরনের প্রাণী রয়েছে একদল বাসা বানাতে পারে এবং অন্য দল পারে না।
বাঁদর ও বাবুই পাখির গল্প
একজনের একটি ফলের বাগান ছিল। সেই বাগানে একটি নারকেল গাছও ছিল যেখানে অনেক বাবুই পাখি বাসা বানিয়েছিল।
একদিন আহারের সন্ধানে একদল বাঁদর সেখানে এসে হাজির হলো। তারা আহার করছিল, এমন সময় ঝমঝম করে বৃষ্টি নামল। তখন তারা গিয়ে সেই গাছটির নীচে আশ্রয় নিল। ধীরে ধীরে বৃষ্টির প্রকোপ বাড়তে লাগল। প্রচণ্ড হাওয়াও বই ছিল। ঠান্ডায়-ঠকঠক করে কাঁপতে শুরু করল। বাঁদরগুলোর এই অবস্থা দেখে পাখিদের খুব কষ্ট হলো। তাদের মধ্যে থেকে একটি পাখি বাঁদরের দলটিকে উদ্দেশ করে বলল, “তোমাদের অবস্থা দেখে আমাদের খুব খারাপ লাগছে। তোমরাও আমাদের মতো করে বাসা বানিয়ে নাও না? আমরা তো ঠোঁট দিয়েই বাসা বানিয়ে ফেলি, এই দেখো।”
পাখিটির কথা শুনে কয়েকটি বাঁদর রেগে গেল। তারা প্রচণ্ড ক্ষেপে গিয়ে খ্যাকখ্যাক করছিল আর বৃষ্টি থামার অপেক্ষা করছিল।
বৃষ্টি থামার সঙ্গে সঙ্গে দুটো বাঁদর গাছের ওপর চড়ে বসল। বাসা ভেঙে লণ্ডভণ্ড করতে চাইল। সেটা দেখে বয়স্ক একটি বাঁদর বাধা দিয়ে বলল, “এই, ভাঙিস না। পাখিগুলো এত কষ্ট করে বাসা বানিয়েছে। সবাই তো ইচ্ছে করলেও বাসা বানাতে পারে না।”